Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ
জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)
Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ
Q. বাহ্যিক উদ্দীপকের একটি উদাহরণ দাও।
Ans : আলো |
Q.উদ্ভিদের পাতায় কোন প্রকার চলন দেখা যায় ?
Ans : তির্যক আলোকবর্তী চলন |
Q. সাইক্লোসিস কী ?
Ans : কোশীয় অঙ্গাণুসহ সাইটোপ্লাজম অনেক উদ্ভিদ কোশের কোশগহ্বরের চারপাশে চক্রকার চলন সম্পন্ন করলে, তাকে সাইক্লোসিস বলে। |
Q. মূল মাটির মধ্যে জলের উৎসের অভিমুখ বাড়তে থাকে – এটি কী ধরণের চলন ?
Ans : অনুকূল জলবৃত্তি চলন |
Q. কোন বিজ্ঞানী প্রথম প্রমান করেন যে, ” বিনা আঘাতেও উদ্ভিদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ?”
Ans : বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু |
Q. প্রকরণ চলন কোন উদ্ভিদে দেখা যায় ?
Ans : বনচাঁড়াল উদ্ভিদের প্রকরণ চলন দেখা যায়। |
Q. সংবেদনশীলতা কাকে বলে উদাহরণ সহযোগে বোঝাও ?
Ans : পরিবেশের ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তনগুলির সাথে উদ্ভিদের সাড়া প্রদানের ধর্মকে সংবেদনশীলতা বলে । অথবা উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে সংবেদনশীলতা বলে। উদাহরণ : লজ্জাবতী লতার পাতাকে স্পর্শ করলে পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে, এটি উদ্ভিদের সংবেদনশীলতার উদাহরণ। |
Q. উদ্দীপক কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans :
উদ্দীপক : যেসব পরিবর্তন শনাক্ত হয় এবং সাড়া প্রদানে সাহায্য করে, তাকে উদ্দীপক বলে।
উদাহরণ : তাপ, আলো, বাতাস ইত্যাদি হল বাহ্যিক উদ্দীপক এবং হরমোন হল অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক।
|
Q. উদ্দীপক কতপ্রকার ও কী কী ?
Ans : উদ্দীপক দুই প্রকার, যেমন: বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ |
Q. চলন কাকে বলে ?
Ans :
চলন : যে প্রক্রিয়ায় জীব বাইরের উদ্দীপকের প্রভাবে কিংবা নিজের চেষ্টায় স্বতঃফূর্তভাবে জৈবিক প্রয়োজনের তাগিদে, দেহের কোন অংশ বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বা মুভমেণ্ট বলে।
|
Q. গমন কাকে বলে ?
Ans :
গমন : খাদ্য-সংগ্রহ, আত্মরক্ষা, বাসস্থান খোঁজা ও প্রজননের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনার দ্বারা নিজের চেষ্টায় সমগ্র জীবদেহের একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়া বা নির্দিষ্ট ও পরিমাপযোগ্য কোন দূরত্ব অতিক্রম করাকেই গমন বা লোকোমোশান বলে।
|
Q. গমনে সক্ষম দুটি উদ্ভিদের নাম লেখ।
Ans : ক্ল্যামাইডোমোনাস ও ভলভক্স।
|
Q. গমনে অক্ষম কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ।
Ans : স্পঞ্জ ও প্রবাল।
|
Q. চলন ও গমনের মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
Ans :
|
Q. চলন ও গমনের উদ্দেশ্য বা তাৎপর্যগুলি উল্লেখ করো।
Ans :
1) পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন।
2) শত্রুর হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো বা আত্মরক্ষা।
3) খাদ্য প্রস্তুতে অক্ষম জীবের, বিশেষত প্রাণের, খাদ্য-সংগ্রহ বা খাদ্যান্বেষণ।
4) প্রাণী গমনের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করে।
5) প্রজননের জন্যও উদ্ভিদ এবং প্রাণীর চলন ও গমন প্রয়োজন।
|
Q. উদ্ভিদের চলন কয় প্রকার ও কী কী ?
Ans : উদ্ভিদের চলন দুই প্রকার।
1. সামগ্রিক চলন (Movement of Location)
2. বক্র চলন (Movement of Curvature).
|
Q. ট্যাকটিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
ট্যাকটিক চলন বা প্রবৃত্ত চলন বা আবিষ্ট সামগ্রিক চলন বা অভিমুখ্য চলন : যখন আলো, তাপমাত্রা, রাসায়নিক পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক্তি যেকোন বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ কিংবা উদ্ভিদ-অঙ্গে স্থান পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে প্রবৃত্ত বা আবিষ্ট সামগ্রিক চলন বা ট্যাকটিক চলন বা অভিমুখ্য চলন বলে।
|
Q. ফোটোট্যাকটিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
ফোটোট্যাকটিক চলন : বহিঃস্থ উদ্দীপক আলোকের প্রভাবে যে ট্যাকটিক চলন দেখা যায় তাকে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে।
|
Q. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বলা হয় কেন ?
Ans : জীবদেহের নির্দিষ্ট স্থানে উৎপন্ন হয়ে হরমোন সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোশের বিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এইভাবে জীবদেহে রাসায়নিক সংযোগ গড়ে তোলার জন্য হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বা chemical coordinator বলে।
|
Q. সিসমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
সিসমোন্যাস্টিক চলন : স্পর্শ, ঘর্ষণ, আঘাত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি উদ্দীপকের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে সিসমোন্যাস্টিক বা স্পর্শব্যাপ্তি চলন বলে।
উদাহরণঃ লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতার পত্রগুলি নুয়ে পড়ে।
কারণ : পত্রগুলি উত্তেজিত হলে তাদের স্ফীতবৃন্ত বা পালভিনাস থেকে জল অন্য কোষে চলে গেলে রসস্ফীতির চাপ কমে যায় ফলে পত্রগুলি নুয়ে পড়ে।
|
Q. কেমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
কেমোন্যাস্টিক বা রসায়নব্যাপ্তি চলন : কোনো রাসায়নিক পদার্থের (প্রোটিন, ইথার, ক্লোরোফর্ম প্রভৃতি) সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গে যে সঞ্চালন বা চলন ঘটে তাকে কেমোন্যাস্টিক বা রসায়নব্যাপ্তি চলন বলে।
উদাহরণঃ সূর্যশিশির (পতঙ্গভুক) উদ্ভিদের পাতায় কর্ষিকাগুলি পতঙ্গের (প্রোটিন) সংস্পর্শ আসামাত্র বেঁকে গিয়ে পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।
|
Q. হাইপোন্যাস্টি চলন কাকে বলে ?
Ans :
হাইপোন্যাস্টি চলন : পাতার গঠনের প্রথম পর্যায়ে অঙ্কভাগের কোশগুলি পৃষ্টভাগের কোশ অপেক্ষা বেশি বৃদ্ধির ফলে পাতা গুটিয়ে থাকে একে হাইপোন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরণঃ ফার্ণ, কচি কলাপাতা, কচুপাতা জন্মাবার সময় গুটিয়ে থাকে।
|
Q. এপিন্যাস্টি চলন কাকে বলে ? Ans :
এপিন্যাস্টি চলন : ইহা হাইপোন্যাস্টির ঠিক বিপরীত অর্থাৎ পাতার গঠনের পরবর্তী পর্যায়ে পৃষ্টভাগের কোশগুলি অঙ্কভাগের কোশের চেয়ে বেশি বৃদ্ধির ফলে পাতাটি সোজা হয়ে যায়।একেই এপিন্যাস্টি চলন বলে।
উদাহরণঃ ফার্ণ ও কচুপাতার ক্রমবৃদ্ধি।
|
Q. ন্যুটেশন বা বলন কাকে বলে ?
Ans : উদ্ভিদের বর্ধনশীল কাণ্ডের অসম বৃদ্ধির ফলে কান্ড সর্পিলাকারে বৃদ্ধি পায়। উদ্ভিদ অঙ্গের এইরকম সর্পিলাকার চলনকে ন্যুটেশন বা বলন বলে ।
উদাহরণঃ মটর, কুমড়ো, উচ্চে, করলা প্রভৃতি উদ্ভিদের কান্ড।
|
Q. সারকামন্যুটেশান বা পরিবলন কাকে বলে ?
Ans : কোন বস্তুকে বেষ্টন করে সর্পিলভাবে বৃদ্ধি বা অগ্রসর হওয়াকেই সারকামন্যুটেশান বা পরিবলন বলে।
উদাহরণঃ মটর, কুমড়ো, উচ্চে, করলা প্রভৃতি উদ্ভিদের আকর্ষ।
|
Q. ফোটোট্রপিজম চলন কাকে বলে ?
Ans :
ফোটোট্রপিজম চলন : যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ-অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলোক-উদ্দীপক দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে ফোটোট্রপিজম চলন বলে।
|
Q. পেরিস্টলসিস চলন কাকে বলে ?
Ans :
পেরিস্টলসিস চলন : পৌষ্টিকনালীর যে পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণে খাদ্যবস্তু পরিপাকনালীর এক অংশ থেকে অন্য অংশে প্রেরিত হয় সেই চলনকে পেরিস্টলসিস চলন বলে।
|
Q. ট্রপিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
চলন বা দিকনির্ণীত চলন : উদ্দীপকের উৎসের দিকে বা উদ্দীপকের গতিপথের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বলে।
|
Q. ফোটোট্রপিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
আলোকবৃত্তি বা আলোকবর্তী চলন বা ফোটোট্রপিক চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোক উৎসের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে আলোকবৃত্তি বা আলোকবর্তী চলন বা ফোটোট্রপিক চলন বলে।
|
Q. হাইড্রোট্রপিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
জলবৃত্তি বা জলবর্তী বা হাইড্রোট্রপিক চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে জলবৃত্তি বা জলবর্তী বা হাইড্রোট্রপিক চলন বলে।
|
Q. জিওট্রপিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
অভিকর্ষবৃত্তি বা অভিকর্ষবর্তী বা জিওট্রপিক চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে অভিকর্ষবৃত্তি বা অভিকর্ষবর্তী বা জিওট্রপিক চলন বলে।
|
Q. ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা উপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই প্রকার চলনকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে।
|
Q. ফোটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
ফোটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন যখন আলোকের তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন তাকে ফোটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তি চলন বলে।
উদাহরণঃ পদ্ম, সূর্যমুখী প্রভৃতি ফুল আলোর তীব্রতায় ফোটে আবার কম আলোকে মুদে যায়।
|
Q. থার্মোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ?
Ans :
থার্মোন্যাস্টিক বা তাপব্যাপ্তি চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন বা চলন যখন উষ্ণতার তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন তাকে থার্মোন্যাস্টিক বা তাপব্যাপ্তি চলন বলে।
উদাহরণঃ টিউলিপ ফুলের পাপড়ি অধিক তাপে খোলে, আবার কম তাপে মুদে যায়।
|
Q. দ্বিপদী গমন কাকে বলে ?
Ans : দুই পায়ের দ্বারা যে গমন সম্পন্ন করা হয় তাকে দ্বি-পদী গমন বলে।
|
Q. অ্যামিবার গমন অঙ্গের নাম কী ?
Ans : সিউডোপোডিয়া বা ক্ষণপদ।
|
Q. বল ও সকেট সন্ধি বলতে কী বোঝ ?
Ans : একটি অস্থির বলের মত গোলাকৃতি অংশ আর একটি অস্থির সকেট বা কোটরে এমন সুন্দরভাবে স্থাপিত হয়। হাড়ের এরূপ সন্ধিকে বল ও সকেট সন্ধি বলে। অর্থাৎ, সাধারণ ভাষায় বলা যেতে পারে, একটি হাড়ের গোলাকার মাথাটি অন্য একটি হাড়ের গোলাকৃতি গর্তে ঢুকে যায়– যাতে করে অঙ্গগুলি প্রায় সমস্ত দিকেই সঞ্চালন করতে পারে।
উদাহরণঃ কাধের স্ক্যাপুলা অস্থি ও হাতের হিউমেরাস অস্থির সন্ধি।
|
Q. আমাদের হাতের কনুই – কে কেন পিছন দিকে ঘোরাতে পারিনা ?
Ans : হাতের কনুই – এর হাড় কব্জাসন্ধি দিয়ে যুক্ত থাকে যা আমাদের হাতকে কেবল একদিকে আসা – যাওয়া করতে দেয়। তাই আমরা আমাদের হাতের কনুই – কে পেছনদিকে ঘোরাতে পারিনা।
|
Q. প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে কতগুলি হাড় থাকে ?
Ans : 206 টি
|
Q. রাইগার মরটিস বা মরণ সংকোচন কাকে বলে ?
Ans : মৃত্যুর পর পেশী যখন সংকোচনশীলতা ধর্ম হারিয়ে অনড় হয় তখন তাকে রাইগার মরটিস বা মরণ সংকোচন বলে।
|
Q. অগ্রস্থ প্রকটতা কাকে বলে ?
Ans : অগ্রমুকুলের উপস্থিতিতে কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়, কিন্তু অগ্রমুকুল কেটে বাদ দিলে কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটে এবং শাখাপ্রশাখা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে অগ্রস্থ প্রকটতা বলে।
উদাহরণঃ অক্সিন অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় এবং কাক্ষিক (পার্শ্বীয়) মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
|
Q. পিটুইটারিকে মাস্টার গ্ল্যাণ্ড বলে কেন ?
Ans : পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে এই গ্রন্থিকে মাস্টার গ্ল্যাণ্ড (master gland) বলে।
|
Q. জিব্বেরেলিন কীভাবে মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে ?
Ans : যে সমস্ত বীজে ও মুকুলে স্বল্প অন্তর্জনিষ্ণু জিব্বেরেলিন থাকে, সেক্ষেত্রে বহির্জনিষ্ণু জিব্বেরেলিন প্রয়োগে বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করা যায়।
|
Q. আগাছানাশক হিসাবে কৃত্রিম অক্সিনের ভূমিকা কী ?
Ans : ধান, গম, যব প্রভৃতি শষ্যক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিন (2, 4-D) ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করা হয়। এতে ফসলের উপর কোনো স্থায়ী প্রভাব পড়ে না।
|
Q. অগ্ন্যাশয়ের অন্তঃক্ষরা কোশগুলি কী কী ? সেখান থেকে কী কী হরমোন নিঃসৃত হয় ?
Ans : অগ্ন্যাশয়ের অন্তঃক্ষরা কোশগুলি ও সেখান থেকে নিঃসৃত হরমোন গুলি হল যথাক্রমে-
বিটা কোশ – ইনসুলিন
আলফা কোশ – গ্লুকাগন
ডেল্টা কোশ – সোমাটোস্টেটিন
|
Q. অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলে কেন ?
Ans : অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি বহিঃক্ষরা কোশ ও অন্তঃক্ষরা কোশ উভয় প্রকার কোশ দ্বারা গঠিত তাই অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলে।
|
Q. অ্যাড্রেনালিনকে সংকটকালীন হরমোন বলে কেন ?
Ans : স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যাড্রেনালিনের ভূমিকা নগণ্য হলেও রাগ, ভয়, আনন্দ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি উত্তেজনাকালে এই হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। আবার জরুরিঅবস্থা বা সংকটকাল দূর হলে এই হরমোনের ক্রিয়াশীলতা হ্রাস পায়, এই কারণে অ্যাড্রিনালিনকে জরুরিকালীন বা সংকটকালীন হরমোন (emergency hormone) বলে।
|
Q. টেস্টাস্টেরনের দুটি কাজ উল্লেখ করো।
Ans : টেস্টোস্টেরনের দুটি কাজ হল –
1) পুরুষের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন : টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গের (শিশ্ন ও শুক্রাশয়) এবং আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গের (কাউপার গ্রন্থি, প্রটেস্ট গ্রন্থি) বৃদ্ধি ঘটে।
2) মৌল বিপাকীয় হার : টেস্টোস্টেরন দেহে মৌল বিপাকীয় হার এবং প্রোটিন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে।
|
Q. গলগণ্ড ও মধুমেহ রোগ হয় কোন হরমোনের কীরূপ ক্ষরণের প্রভাবে ?
Ans : গলগণ্ড বা গয়টার (Goitre): থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন নিঃসরণ হ্রাস পেলে আয়োডিন বিপাক ব্যাহত হয়। আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়।
মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস (Diabetes mellitus): অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোশ থেকে ইনসুলিন হরমোন কম নিঃসৃত হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ফলে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস রোগ হয়।
|
Q. বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির দুটি পার্থক্য দেখাও।
Ans :
|
Q. স্নায়ুসন্নিধি কাকে বলে ?
Ans : দুটি নিউরোনের যে সংযোগস্থলে একটি নিউরোনের শেষ এবং অপর নিউরোনের শুরু, তাকে সাইন্যাপস বা স্নায়ুসন্নিধি বা প্রান্তসন্নিকর্ষ বলে।
|
Q. লঘুমস্তিষ্কের কাজ কী ?
Ans : লঘুমস্তিষ্কের কাজগুলি হল –
1) দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে,
2) দেহভঙ্গিমা নিয়ন্ত্রণ করে,
3) প্রত্যাবর্তী স্নায়ুকেন্দ্ররূপে কাজ করে।
|
Q. উপযোজন কাকে বলে ?
Ans : স্থান পরিবর্তন না করে অক্ষিগোলকের পেশি ও লেন্সের সাহায্যে যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে উপযোজন বা Accommodation বলে।
|
Q. মায়োপিয়া কাকে বলে ? এর সমাধান কী ?
Ans : যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে, তাকে মায়োপিয়া বা নিকটদৃষ্টি বলে।
চক্ষুগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যাওয়ার ফলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে পড়ে, ফলে দূরের বস্তু দেখা যায় না।
উপায়ঃ অবতল সেন্স (concave lens) যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর হয়।
|
Q. হাইপারমেট্রোপিয়া বলতে কী বোঝ ? এর সমাধান কী ?
Ans : যে দৃষ্টিতে নিকটের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু দূরের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে দূরবদ্ধ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া (Hypermetropia) বা হাইপেরোপিয়া (Hyperopia) বলে।
চক্ষুগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় ছোটো হওয়ায় বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পিছনে পড়ে, ফলে কাছের বস্তু দেখা যায় না।
উপায়ঃ উত্তল লেন্স (convex lens) যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই রোগ সারে।
|
Q. ক্যাটারাক্ট কাকে বলে ? এর সমাধান কী ?
Ans : বেশি বয়স্ক লোকদের লেন্স সম্পূর্ণভাবে অস্বচ্ছ হয়ে ওঠে, ফলে সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে লোকটি সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে যায়।
উপায়ঃ সার্জারি করে আক্রান্ত লেন্সটিকে চোখ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হাইপাওয়ারের উপযুক্ত চশমা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
বর্তমানে একটি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক লেন্স আইরিশের পিছনে আটকে দেওয়া হয়।
|
Q. জীবের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চলনকে কী বলে ?
Ans : চলন
|
Q. মাছের গমন অঙ্গের নাম কী ?
Ans : পাখনা
|
Q. স্পর্শের প্রভাবে লজ্জাবতীর পাতা মুড়ে যায় – এটি কী প্রকারের চলন ?
Ans : সিসমোন্যাস্টি (Seismonasty) বা স্পর্শব্যাপ্তি।
|
Q. ট্যাকটিক চলনের একটা উদাহরণ দাও। Ans : এককোষী কয়েকটি শৈবালের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাওয়া (ফটোট্যাকটিক)।
|
Q. কোন হরমোনের প্রভাবে উদ্ভিদের আলোকবর্তী চলন হয় ?
Ans : অক্সিন
|
Q. অভিকর্ষজ চলন উদ্ভিদের কোন অঙ্গে দেখা যায় ?
Ans : উদ্ভিদের মূল বা শিকড়ে
|
Q. পদ্ম ফুলের পাপড়ি অধিক তাপে খোলে এবং কম তাপে মুড়ে যায় – এটি কী ধরণের চলন?
Ans : থার্মোন্যাস্টি বা তাপব্যাপ্তি
|
Q. হরমোন শব্দটি কোন গ্রিক শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে ?
Ans : গ্রিক শব্দ হরমোইন (Hormoein) বা হরমাও (Hormao) থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
|
Q. IAA এর পুরো নাম কী ?
Ans : Indole Acetic Acid (ইন্ডোল অ্যাসেটিক অ্যাসিড)
|
Q. অক্সিনের রাসায়নিক উপাদানগুলি কী কী ?
Ans :
অক্সিনের রাসায়নিক উপাদান গুলি হল – কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N)
|
Q. অক্সিনের প্রভাবে বীজবিহীন ফল উৎপাদনকে কী বলে ?
Ans : পার্থেনোকার্পি (parthenocarpy)
|
Q. শাখাকলম সৃষ্টির জন্য কোন কৃত্রিম হরমোন দেওয়া হয় ?
Ans : অক্সিন
|
Q. প্রাণী হরমোনের উৎসস্থল কোথায় ?
Ans : বিভিন্ন অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যেমন – পিটুইটারি, আড্রিনালিন ইত্যাদি।
|
Q. টেস্টোস্টেরণ কোন গ্রন্থি থেকে নিসৃত হয় ?
Ans : টেস্টোস্টেরণ শুক্রাশয় (পুং-জনন গ্রন্থি) থেকে নিসৃত হয়।
|
Q. একটি মিশ্র গ্রন্থির উদাহরণ দাও ?
Ans : অগ্ন্যাশয়
|
Q. একটি নাইট্রোজেন বিহীন হরমোনের উদাহরণ দাও।
Ans : জিব্বেরেলিন (Gibberellin)
|
Q. নারকেলের তরল শস্যে কোন হরমোন পাওয়া যায় ?
Ans : সাইটোকাইনিন (Cytokinin)
|
Q. বৃক্কের উপর কোন গ্রন্থি অবস্থিত ?
Ans : অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি
|
Q. ইনসুলিন কোন কোশ থেকে নিঃসৃত হয় ?
Ans : ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়-এর বিটা কোশ থেকে নিঃসৃত হয়।
|
Q. ACTH এর পুরো নাম কী ?
Ans : Adreno Cortico Trophic Hormone (অ্যাড্রিনো কর্টিকো ট্রফিক হরমোন)
|
Q. গ্ল্যাণ্ড বা গ্রন্থি কাকে বলে ?
Ans : কতকগুলি নির্দিষ্ট কোশসমষ্টি বা কলা যখন কোন রস ক্ষরণ করে তখন তাকে গ্রন্থি বলে।
উদাহরণঃ স্যালিভারি গ্রন্থি, প্যাংক্রিয়াস গ্রন্থি, পিটুইটারি গ্রন্থি ইত্যাদি।
|
Q. এক্সোক্রিন গ্ল্যাণ্ড বা সনাল গ্রন্থি কাকে বলে ?
Ans : যখন কোন গ্রন্থি নিঃসৃত ক্ষরণ বা রস নালীর মাধ্যমে গ্রন্থির বাইরে নিসৃত হয় তখন তাকে এক্সোক্রিন গ্ল্যাণ্ড বা সনাল গ্রন্থি বলে।
|
Q. এণ্ডোক্রিন গ্ল্যাণ্ড বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে ? Ans : যখন কোন গ্রন্থি নিঃসৃত ক্ষরণ বা রস নালীপথে সরাসরি রক্তবাহে প্রবেশ করে তখন তাকে এণ্ডোক্রিন গ্ল্যাণ্ড বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
|
Q. মিক্সড গ্ল্যাণ্ড বা মিশ্রগ্রন্থি কাকে বলে ?
Ans : যে সব গ্রন্থি অনাল ও সনাল গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে। তবে এসকল গ্রন্থি থেকে হরমোন কখনই নালীপথে বের হয় না – পরন্তু রক্তস্রোতের মাধ্যমে নীত হয়।
উদাহরণঃ প্যাংক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়গ্রন্থিকে মিক্সড গ্ল্যান্ড বা মিশ্র গ্রন্থি বলা হয়ে থাকে।
|
Q. স্থানীয় হরমোন কাকে বলে ?
Ans : যে সীমিত সংখ্যক হরমোন যেখানে ক্ষরিত হয় সেখানেই উতপত্তিস্থলের অঙ্গকেই উদ্দীপিত করে বা ক্রিয়াশীল হয় তাদের স্থানীয় হরমোন বলে।
উদাহরণঃ টেস্টোস্টেরন, প্রোস্টাগ্ল্যাণ্ডিন ।
|
Q. ট্রফিক হরমোন কাকে বল ?
Ans : যেসকল হরমোন কোন একটি অনালগ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়ে অন্য একটি অনালগ্রন্থিকে উত্তেজক রস বা হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপিত করে তাদের ট্রফিক হরমোন বলে।
উদাহরণঃ ACTH, TSH, FSH .
|
Q. হরমোনকে রাসায়নিক দূত বা রাসায়নিক বার্তাবহ বা কেমিক্যাল মেসেঞ্জার বলে কেন ?
Ans : দূত যেমন এক দেশের বার্তা বা সংবাদ আর এক দেশে বহন করে নিয়ে যায়, ঠিক অনুরূপভাবে হরমোনগুলি এক জায়গায় উৎপন্ন হয়ে অর্থাৎ উৎপত্তিস্থল থেকে অপর কোন জায়গায় অর্থাৎ বহুদূরে পরিবাহিত হয়ে রাসায়নিক বার্তা বহন করে সেখানকার অঙ্গকে উদ্দীপিত করে বা ক্রিয়াশীল হয়। এই কারণে হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বলা হয়।
|
Q. হরমোনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ কর ?
Ans :
হরমোনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল :
1) হরমোন অতি সহজেই কোশ-ঝিল্লির বা রক্তনালীর অন্তঃস্থ আবরণীকলার মধ্য দিয়ে অতিক্রমণে সক্ষম।
2) হরমোন একপ্রকার জটিল জৈব যৌগ এবং ইহা কোশ বা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
3) হরমোন প্রধানত সৃষ্টি বা উৎপত্তির স্থান থেকে দূরে দেহের অন্য কোষে ক্রিয়া বা প্রভাব বিস্তার করে।
4) প্রতিটি হরমোন নির্দিষ্ট অঙ্গ কিংবা কার্যের উপর সক্রিয়।
5) হরমোন তার নিয়ন্ত্রণাধীন কোশের কোন বিক্রিয়া আরম্ভ করতে পারে না, কেবল বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
6) হরমোন জৈব অনুঘটক রূপে কাজ করে এবং কার্যসমাপ্তিতে হরমোন বিনষ্ট হয়ে দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
7) হরমোন জীবদেহে কেমিক্যাল কো-অর্ডিনেশান অর্থাৎ রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে থাকে এবং কেমিক্যাল কো-অর্ডিনেটর রূপে কাজ করে থাকে।
8) কোন একটি এণ্ডোক্রিন গ্ল্যাণ্ডের ক্ষরণক্রিয়া পরোক্ষভাবে অন্য গ্ল্যাণ্ডের মাধ্যমে নিজেই নিয়ন্ত্রিত হয়- এই পদ্ধতি ফিড-ব্যাক নামে হরমোনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
9) হরমোন কখনো কখনো দ্বৈত-নিয়ন্ত্রক রূপে কাজ করে অর্থাৎ কোনও একটি হরমোন কোন কাজে সহায়তা করে আবার কোনও একটি হরমোন ঐ নির্দিষ্ট কাজে বাধা দেয়।
|
Q. হরমোন ও উৎসেচক এর মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
Ans :
|
Q. কাইনিন কাকে বলে ? Ans : উদ্ভিদদেহের যে সকল হরমোন বা উত্তেজক রস কোশ-বিভাজনকে উদ্দীপিত করে – এমন কয়েকটি সমগোত্রীয়পদার্থকে সমষ্টিগতভাবে বা অঙ্কুরিত বীজে উৎপন্ন নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারীয় হরমোনকে কাইনিন বলে।
|
Q. কাইনিন হরমোনের কার্যকারিতাগুলি উল্লেখ করো।
Ans : কাইনিন বা সাইটোকাইনিন-এর কাজ গুলি হল –
1) উদ্ভিদের কোশ বিভাজন ঘটায়,
2) পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়
3) পত্রমোচন বিলম্বিত করে।
|
Q. কাকে এবং কেন অ্যাণ্টি-জিব্বেরেলিন বলে ?
Ans : ডরমিন এবং অ্যাবসেসিন হল দুটি বৃদ্ধি প্রতিরোধক হরমোন। এদের মূল রাসায়নিক পদার্থ হল অ্যাবসেসিক অ্যাসিড। যেহেতু অ্যাবসেসিক অ্যাসিড জিব্বেরেলিনের ক্রিয়াশীলতাকে প্রতিরোধ বা ব্যাহত করে তাই একে অ্যাণ্টি-জিব্বেরেলিন বলে।
|
Q. কয়েকটি প্রাণী হরমোনের নাম লেখো।
Ans : ACTH, TSH, থাইরক্সিন, ইনসুলিন, অ্যাড্রেনালিন, টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন ইত্যাদি।
|
Q. থাইরয়েড গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন ?
Ans : যেহেতু থাইরয়েড একটি অনাল গ্রন্থি (Ductless Gland) এবং এর নিঃসৃত থাইরক্সিন ইত্যাদি হরমোনগুলি ব্যাপন প্রক্রিয়ায় সরাসরি রক্তে মিশ্রিত হয় তাই থাইরয়েড গ্রন্থিকে এণ্ডোক্রিন গ্ল্যান্ড বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
|
Q. ইনসুলিন কোথা থেকে ক্ষরিত হয় ? এর প্রধান কাজ কী ?
Ans : প্যাংক্রিয়াসের অন্তঃক্ষরা অংশের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স-এর বিটা কোশ থেকে ইনসুলিন ক্ষরিত হয়।
কাজ : রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এর প্রধান কাজ।
|
Q. ডায়াবেটিস মেলাইটাস কাকে বলে ?
Ans : রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক পরিমাণ 100 cc রক্তে 80-120 mg. । রক্তে শর্করার পরিমাণ এর থেকে বেশি হলে যে বিশেষ লক্ষণবিশিষ্ট রোগ হয় তাকে ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা মধুমেহ বলে।
|
Q. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বলা হয় কেন ?
Ans : জীবদেহে নির্দিষ্ট স্থানে উৎপন্ন হয়ে হরমোন সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোশের বিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এইভাবে জীবদেহে রাসায়নিক সংযোগ গড়ে তোলার জন্য হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বা chemical coordinator বলে।
|
Q. উদ্ভিদ হরমোন কাকে বলে ? Ans : উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কার্যে সহায়তাকারী জৈব যৌগগুলোকে সমষ্টিগতভাবে উদ্ভিদ হরমোন বলে।
|
Q. অক্সিন কাকে বলে ?
Ans : উদ্ভিদের কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগে, ভ্রূণমুকুলাবরণী, বর্ধনশীল পাতার কোশে সংশ্লেষিত নাইট্রোজেনঘটিত যে জৈব অম্ল উদ্ভিদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, তাকে অক্সিন বলে।
|
Q. কৃষিকার্যে অক্সিনের ব্যবহার উল্লেখ করো।
Ans : উদ্ভিদের কাণ্ড, মুকুলাবরণী এবং মূলের অগ্রভাগে উৎপন্ন প্রধানতঃ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সহযোগে গঠিত উদ্ভিদদেহের প্রধান বৃদ্ধি-নিয়ন্ত্রক একপ্রকার জৈব অ্যাসিড বা হরমোন হিসাবে অক্সিন কৃষিকার্যে ব্যবহৃত হয়।
|
Q. জিব্বেরেলিন কাকে বলে?
Ans : উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজে, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র, মুকুল ইত্যাদিতে সংশ্লেষিত টারপিনয়েড গোষ্ঠীর যে জৈব অম্ল উদ্ভিদের দৈঘ্যের বৃদ্ধি ঘটায় এবং বীজের সুপ্ত দশা হ্রাস করে এবং ফুল ধারণে সাহায্য করে তাকে জিব্রালিন বা জিব্বেরেলিন বলে।
|
Q. জিব্বেরেলিন হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগগুলি উল্লেখ করো।
Ans :
1) জিব্বেরেলিনের বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্যে মুকুলের সুপ্তাবস্থা দূর করা একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য কাজ।
2) জিব্বেরেলিনের কার্যকারিতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোশ-বিভাজন এবং সামগ্রিকভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধির সহায়ক।
3) ফুল-ফলগঠনে জিব্বেরেলিন প্রভাববিস্তার করে।
4) জিব্বেরেলিনের প্রভাবে জিন-নিয়ন্ত্রিত বংশগত খর্বতা বিনষ্ট হয়ে উদ্ভিদ দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়।
5) বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় জিব্বেরেলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
6) জিব্বেরেলিনের উপস্থিতিতে কখনো কখনো বীজবিহীন ফল সৃষ্টি হয়ে থাকে।
7) কখনো কখনো উদ্ভিদের লিঙ্গের বাহ্য প্রকাশেও জিব্বেরেলিনের কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়।
8) গাছের পাতায় জিব্বেরেলিন স্প্রে করলে পাতার আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
|
Q. নিউরোহরমোন কাকে বলে ?
Ans : নিউরো-সিক্রেটরি কোশ বা স্নায়ুকোশ থেকে নিঃসৃত ও নিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক পদার্থকে নিউরোহরমোন বলে।
|
Q. একডাইসোন কী ?
Ans : পতঙ্গের মস্তিষ্কের নিউরোসিক্রেটরি কোশ থেকে নিঃসৃত যে হরমোন পতঙ্গের নির্মোচন এবং শূককীটের রূপান্তরে সাহায্য করে তাকে একডাইসোন বলে।
|
Q. গোনাডোট্রফিক হর্মোন কোন গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয় ? Ans : পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রভাগ থেকে গোনাডোট্রফিক হরমোন ক্ষরিত হয়।
|
Q. প্রাণীদেহে হরমোনের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ করো।
Ans : 1) পিটুইটারি নির্যাস প্রয়োগ করে মাছের প্রজনন ঘটানো হয়ে থাকে।
2) হাঁপানির শ্বাসকষ্টে অ্যাড্রিনালিন প্রয়োগ করা হয়।
|
Q. উদ্ভিদ কীভাবে সাড়া প্রদান করে ?
Ans : উদ্ভিদ দুটি কারণে সাড়া প্রদান করতে পারে। কারণ দুটি হল আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাব।এটি অতীব মন্থর প্রক্রিয়া।উদ্ভিদের দ্রুত সাড়া প্রদানের ঘটনা বিরল (ব্যাতিক্রম: লজ্জাবতী)। অধিকাংশ উদ্ভিদ একটি নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থেকে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন বা চলনের মাধ্যমে সাড়া প্রদান করে। |
Q. চলন বলতে কী বোঝায় ?
Ans : চলন : যে প্রক্রিয়ায় জীব এক জায়গায় স্থির থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া দিয়ে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেহের কোন অংশ সঞ্চালন করে, তাকে চলন বলে। |
Q. চলনের উদ্দেশ্য কী কী ?
Ans : চলনের উদ্দেশ্যগুলো হল – 1) উদ্ভিদের মূলের অগ্রভাগে জলের অন্বেষণে জন্য চলন দেখা যায় 2) সূর্যালোক, বাতাস ইত্যাদির সন্ধানে উদ্ভিদের কাণ্ড ও শাখা প্রশাখার চলন ঘটে 3) মাটি থেকে জল ছাড়াও খনিজ লবণের সন্ধানে মূলের বিভিন্ন দিকে চলন দেখা যায়। |
Q. সাইক্লোসিস কী ? এটি কত প্রকার ও কী কী ?
Ans : সাইক্লোসিস হল উদ্ভিদ কোশের অঙ্গানুসহ সাইটোপ্লাজমের চক্রাকার চলন। প্রকারভেদ : এটি দুই প্রকার। 1. রোটেনশন : একটি বৃহৎ কোশীয় ভ্যাকুওলকে কেন্দ্র করে সমস্ত সাইটোপ্লাজমের চক্রকার চলনকে বলে রোটেশন। 2. সার্কুলেশন : ছোট ছোট ভ্যাকুওলকে ঘিরে সাইটোপ্লাজমের চক্রাকার ঘূর্ণনকে বলে সার্কুলেশন । উদাহরণ : ট্রাডেসক্যানশিয়া উদ্ভিদ |
Q. বক্রচলন কাকে বলে ?
Ans : মাটিতে আবদ্ধ অবস্থায় একস্থানে স্থির থেকে স্বতঃস্ফূর্ত বা বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার অঙ্গের সঞ্চালনকে বলে বক্র চলন । উদাহরণ : ট্রপিক চলন, ন্যাস্টিক চলন, প্রকরণ চলন ইত্যাদি। |
Q. প্রকরণ চলন বলতে কী বোঝায় ?
Ans : কোশের রসস্ফীতি তারতম্যের মধ্যে উদ্ভিদের যেসমস্ত অঙ্গের স্বত্বস্ফূর্ত চলন ঘটে তাদের বলে প্রকরণ চলন। উদাহরণঃ বনচাঁড়ালের যৌগপত্রের পার্শ্বীয় পত্রকে দুটি স্বতঃস্ফূর্ত পর্যায়ক্রমে ওপরে ও নিচে ওঠানামা করে। এটি এক প্রকার রসস্ফীতিজনিত প্রকরণ বলে। |
Q. এমন একটি হরমোনের নাম কর যা দেহের সর্বত্র পাওয়া যায় ?
Ans : প্রোস্টাগ্ল্যাণ্ডিন
|
Q. বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক কাকে বলে ?
Ans : বাহ্যিক উদ্দীপক : যে উদ্দীপক জীবদেহের বাইরে উৎপন্ন হয়ে জীবদেহে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তাকে বাহ্যিক উদ্দীপক বলে। উদাহরণ : রোহানিজাতীয় উদ্ভিদ কোনো শক্ত অবলম্বনে সংস্পর্শে এলে এটি জড়িয়ে ধরে বৃদ্ধি পায়। অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক : জীবদেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে সৃষ্ট উদ্দীপককে যা জীবদেহে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তাকে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক বলে। উদাহরণ : উদ্ভিদ দেহে উৎপন্ন অক্সিন হরমোন । |
Q. ক্রেসকোগ্রাফ কী ?
Ans : বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্রবসু আবিষ্কৃত এক প্রকার অত্যন্ত সুবেদী যন্ত্র,এর সাহায্যে উদ্ভিদের সামান্য সাড়া প্রদানের ঘটনাও পরিমাপ করা যায়। এই যন্ত্র দ্বারা বিজ্ঞানী বসু লজ্জাবতীর লতা ও বনচাঁড়ালের সারা প্রদানের ঘটনা চাক্ষুস করেন। |
Q. উদ্দীপক ও উদ্দীপনার সম্পর্ক কী ?
Ans : উদ্দীপকের উপস্থিতিতে জীবদেহে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।পরিবেশের সমস্ত জীবই কম বেশি উদ্দীপকের উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। |
Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ
Subscribe my Youtube channel : Science Duniya in Bangla
and visit Our website : learningscience.co.in
গণিত প্রকাশ (দশম শ্রেণী) সমাধান
গণিত প্রকাশ (নবম শ্রেণী) সমাধান
গণিত প্রভা (ষষ্ঠ শ্রেণী) সমাধান
Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ
Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ
Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ,Class 10 Life Science Chapter 1 SAQ